পুঁজিবাজারে উত্থান পতন থাকাটা স্বাভাবিক। তবে এর জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ থাকা চাই। আবার এমন হতে পারে মাঝেমধ্যে অকারণ বা সংশোধনের জন্য সূচকের পতন হয়। তবে এটি ব্যতিক্রম হিসেবেই বিচিত। কিন্তু অযথাই ভালো শেয়ারের দরপতন কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে যেখানে নেমেছে (সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্ট) সেটিকে একটি মনস্তাত্ত্বিক সীমাও বলা যায়। সাধারণত শেয়ারসূচক এ ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে বা আশপাশে নেমে এলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে ভীতি দেখা দেয়। আতঙ্কে তাঁদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন ভালোমন্দ–নির্বিশেষে হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দেন অনেক বিনিয়োগকারী।
বিনিয়োগকারীদের ভালো শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার প্রবণতা অনেক সময় দেখা যায়। যে কারণে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ঢাকার বাজারে সম্প্রতি সূচকের বড় পতনের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রেনেটা, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট ও গ্রামীণফোনসহ স্থানীয় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মা, পূবালী ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিংস, বেক্সিমকো ফার্মা ও ওরিয়ন ফার্মার। এই ১০ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণেই গত বুধবার ডিএসইএক্স সূচকটি কমেছে ৩০ পয়েন্ট (মোট পতন ৫৮ পয়েন্ট)। অর্থাৎ এদিন ডিএসইএক্স সূচকটি যতটা কমেছে, তার অর্ধেকের বেশিই কমেছে এই ১০ কোম্পানির দরপতনে। অথচ এগুলোর বেশির ভাগই দেশের শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের পতন কিছুতেই কাম্য নয়।