প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, তা ভালো প্রস্তাব। তবে একই ধরনের সুবিধা কতিপয় অন্যান্য খাত যেমন– সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারের তুলনায় সেসব খাত অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই সে সুযোগ শুধু পুঁজিবাজারের জন্য প্রযোজ্য করা যায় কিংবা প্রস্তাবিত ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে কর পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কার্যকর করার বিধান করা যায়। তাছাড়া, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে তিন বছর লক–ইন পিরিয়ডের শর্ত প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এমন দাবিই রয়েছে সংশ্লিষ্টদের
বলা যায়, প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অনেক দাবি বাজেটে একেবারেই উপেক্ষিত থেকে গেছে। এমনকি বেশকিছু প্রস্তাবনা ক্ষতির কারণ হবে বলেও অনেকেই মনে করছেন। আর সেজন্য বাজেট পেশের পর থেকেই সিএসই, ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ নানাবিধ সংস্থা তাদের স্বার্থরক্ষায় বাজেটে ঘোষিত অনেক প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিদিন আবেদন নিবেদন করে যাচ্ছেন। চূরান্ত বাজেটে তাদের সেই দাবি কতটা পূরণ হবে, সেটিই দেখার বিষয়।