মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখ-লাখ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনে হয়েছে। এতো বড় অর্জন পৃথিবীর অনেক দেশেরই নেই। এটি জাতি হিসেবে আমাদের সক্ষমতার দিকটি ইঙ্গিত করে। সুতরাং অন্য অনেকে যা পারেনি আমরা সেটা পেরেছি। তা হলে দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে অন্যেরা যা পারছে, আমরা তা পারবো না কেনো? একটি আন্তর্জাতিক মানের স্বচ্ছ, উন্নত পুঁজিবাজার গড়ে তোলা কি মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বড় কাজ? না, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বড় কাজ নয়। তারপরও কাজটি আমরা এখনও করতে পারিনি।
চলছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর। এই পঞ্চাশ বছরে আমাদের নানা ক্ষেত্রে সাফল্য কম নয়। একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ হিসেবে আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবার এটি আমাদের জন্য সম্ভাবনারও। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, অনেক জাতি সংকটে পড়েই উত্তরণের উপায় বেশি করে তৈরি করতে পেরেছে। আবার এক কালের সমৃদ্ধশালীরাও সমৃদ্ধি থেকে নেতিয়ে পড়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক দেশ নিজেদের উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলেছে। তারা তাদের অর্থনীতিকে বিকশিত করার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনমানের উন্নতি করেছে। সেসব দেশের পুঁজিবাজারের দিকে তাকালে দেখা যাবে, আমরা সে তুলনায় কিছুই করতে পারিনি। সুতরাং এই প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক- অন্যেরা পারলে আমরা পারবো না কেনো?