দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার সংকটের মধ্যে ছিল। এ সময় যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন, তরা অনেকেই স্বজপ্রীতি করেছেন। এমন কি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচেঞ্চ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামও তার বাইরে নন। তিনি তার কর্তব্য ফাঁকি দিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম করেছেন। আমরা মনে করি এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত। আশা করি বর্তমানে যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা সে কাজটি করবেন।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, জাতীয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর হয়ে শেয়ারবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবুল খায়ের হিরু। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটান। আবুল খায়ের হিরু ছিলেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সরাসরি ছাত্র। এ কারণে শিবলী রুবাইয়াত বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি বিশেষ আনুকূল্য পেতেন। এমনকি অনেক শেয়ারের কারসাজির সঙ্গে হিরুর জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও এসব কারসাজির ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে তদন্তের উদ্যোগ নেননি। কখনো কখনো তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণে ধীরগতির কৌশল অবলম্বন করেন।
আমরা মনে করি সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যানের এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হোক। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে উত্তম পদক্ষেপ। যার মধ্য দিয়ে অনিয়ম নিরসনের দ্বা উন্মুক্ত হতে পারে।