বিক্রির চাপে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৫৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৯৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দামও। এর ফলে টানা পাঁচ দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। বিশেষ করে অতিমূল্যায়িত কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন কমতে শুরু করেছে। এই দুই কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
তাদের এই ধারণা অস্বাভাবিক নয়। অতিমূল্যায়িত শেয়ার দাম কমাটা স্বাভাবিক। এ সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদেরও সজাগ থাকা উচিত। বিনিয়োগের আগে সিদ্ধান্তটি বিনিয়োগকারীর হাতে থাকে। বিনিয়োগ করে ফেললে সেটি হাত ফসকে বের হয়ে যায়। এটি পুঁজিবাজারের রীতি। তাই যা করার করতে হবে বিনিয়োগের আগেই। এখন কথা হচ্ছে, অবমূল্যায়িত শেয়ারগুলোর কী হবে? এগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে না কেনো? এখানেই বিষয়টি ভাবার প্রয়োজন। পুঁজিবাজারে শেয়ার দর উঠা-নামা করবেই। তবে তার যৌক্তিক কারণ থাকাটাই বাজারের স্বচ্ছতা। আমাদের বাজার কতটা স্বচ্ছ সেই প্রশ্নটির সহজ উত্তর পাওয়া কঠিন।